Constitution
প্রথম ভাগ (ধারা ১-৬)
সংগঠন ও সাংগঠনিক কাঠামো
১। নামকরনঃ
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে আগত ছাত্রছাত্রীদের এই সংগঠনের নাম “ব্রাহ্মণবাড়িয়া ছাত্রকল্যাণ পরিষদ,কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় ” ও ইংরেজিতে “Brahmanbaria Students welfare association of comilla university” সংক্ষেপে বাংলায় “বিবাড়িয়া ছাত্রকল্যাণ” নামে ও ইংরেজিতে “B.S.W.A.CoU” নামে অভিহিত হবে।
২। লগো বা প্রতীক :
শিক্ষার প্রতীক হিসেবে এই সংগঠনের লগোর মূল আকৃতি হবে খোলা বইয়ের মতো এবং তার তিন দিক থেকে বেষ্টিত থাকবে একটি রেখা যা ভাতৃত্বের বন্ধনের প্রতীক। লগোর মধ্যখানে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার দৃষ্টি নন্দন সৃতিসোধএর প্রতিচ্ছবি থাকবে। লগোর রং বাংলাদেশের পতাকার রং অনুসারে সবুজ এবং লাল হবে।৩। লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার যে সকল ছাত্রছাত্রী কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ণ রত অবস্থায় থাকবে মূলত তাদের মধ্যে আন্ত সম্পর্ক বৃদ্ধি এবং নিজেদের ভাতৃত্ব বোধ জাগানোই এই সংগঠনের মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য।৪। সদস্যঃ
ক) প্রাথমিক সদস্য: কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত অথবা সাবেক যেকোন ছাত্রছাত্রী যাদের বর্তমান ঠিকানা বা স্থায়ী ঠিকানা ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার অন্তর্গত, তারাই এ সংগঠনের প্রাথমিক সদস্য হিসেবে গন্য হবেন।খ) সাংগঠনিক সদস্য:যে কোন প্রথমিক সদস্য স্নাতক বা স্নাতকোত্তর ডিগ্রি চলাকালীন সময়ে নির্ধারিত ফ্রম পূরন পূর্বক সাংগঠনিক সদস্য পদ গ্রহণ করতে হবে। যে কোন সদস্যের ছাত্রত্ব শেষ হওয়ার সাথে সাথে তার সাংগঠনিক পদ বিলুপ্ত হয়ে যাবে। তবে প্রাথমিক সদস্য হিসেবে তিনি বহাল থাকবেন।শুধুমাত্র কার্যনির্বাহী কমিটি গঠনের সময় ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন।সাংগঠনিক সদস্যই সংগঠনের প্রাণ হিসেবে বিবেচ্য হবে।
গ) কার্যকরী সদস্য: কার্যনির্বাহী কমিটির প্রতিটি সদস্য কার্যকরী সদস্য হিসেবে বিবেচ্য হবেন।সংগঠনের যে কোন নিতীনির্ধারনী সিদ্ধান্তে তাদের ভোট গ্রহণ যোগ্য হবে।
৫। সাংগঠনিক কাঠামোঃ
ক) সাংগঠনিক দিক থেকে শুধুমাত্র ১ বছর মেয়াদী কার্যনির্বাহী কমিটি থাকবে।এর কোন অধস্তন কমিটি থাকবে না।খ) ৭১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি নিম্মরুপে গঠিত হবেঃ
সভাপতি ১(এক) জন,
সহ সভাপতি ৭(সাত) জন,
সাধারন সম্পাদক ১(এক) জন,
যুগ্ন সাধারন সম্পাদক ৭(তিন) জন,
সাংগঠনিক সম্পাদক ৭(তিন) জন,
প্রচার সম্পাদক ১(এক) জন,
দপ্তর সম্পাদক ১(এক) জন,
অর্থ বিষয়ক সম্পাদক ১(এক) জন,
গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক ১(এক) জন,
সাংস্কৃতিক সম্পাদক ১(এক) জন,
শিক্ষা ও পাঠচক্র বিষয়ক সম্পাদক ১(এক) জন,
সমাজসেবা সম্পাদক ১(এক) জন,
ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ১(এক) জন,
পাঠাগার বিষয়ক সম্পাদক ১(এক) জন,
তত্ত্ব ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক ১(এক) জন,
ছাত্রী বিষয়ক সম্পাদক ১(এক) জন,
আইন বিষয়ক সম্পাদক ১(এক) জন,
বিতর্ক বিষয়ক সম্পাদক ১(এক) জন,
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক ১(এক) জন,
বিজ্ঞান ও তত্ত্ব প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ১(এক) জন,
ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক ১(এক) জন,
সহশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক ১(এক) জন,
ত্রান ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সম্পাদক ১(এক) জন,
বিভাগীয় উপ-সম্পাদক ১৭(আঠারো) জন,
সহ-সম্পাদক ৬(ছয়) জন,
কার্যকরী সদস্য ৮(দশ) জন।
গ) সংঠনের কোন নির্দিষ্ট সাংগঠনিক কার্য পরিচালনার জন্য বা বিশেষ অনুষ্ঠান পালনের লক্ষে সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক চাইলে উপ-কমিটি তৈরি করতে পারেন।উক্ত অনুষ্ঠানের সমাপ্তিতে সেই উপ-কমিটিও কোন নির্দেশনা ছাড়াই বিলুপ্ত বলে গন্য হবে।
ঘ) বিশেষ কারনে গঠিত ১৫ সদস্যের কার্যপরিচালনা উপ-কমিটির গঠন হবে নিম্নরূপ:
আহবায়ক- ১(এক) জন,
যুগ্ম আহবায়ক ৫(পাঁচ) জন,
সদস্য সচিব ১(এক) জন,
সদস্য ৮(আট) জন
ঙ) সংগঠনের সার্থে কার্যনির্বাহী পরিষদ, সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক উভয়ের সম্মতিক্রমে ৪/খ উপ ধারার সদস্য সংখ্যা পরিবর্তন করতে পারবে।তবে সে সংখ্যা ৫১-৯১ এর মধ্যে হবে।
৬। উপদেষ্টা মন্ডলি:
ক) সংগঠনের পরিচালনা সার্থে উপদেষ্টা পরিষদ গঠিত হবে। খ)কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চেন্সেলর পদাধিকার বলে প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে থাকবেন।
গ)কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক, যাদের বর্তমান ঠিকানা বা স্থায়ী ঠিকানা ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় তাদের নিয়ে উপদেষ্টা পরিষদ গঠিত হবে।
ঘ)সাবেক সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকগণ উপদেষ্টা মন্ডলির সমমান মর্যাদায় গণ্য হবেন।
দ্বিতীয় ভাগ(ধারা ৭-)
৭।কার্যনির্বাহী কমিটি সদস্য নির্বাচন:
ক) সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সংগঠনের প্রতি অনুগত্বতা ও পরিশ্রম বিবেচনা পূর্বক পরবর্তী ব্যাচের সাংঠনিক সাদস্য এবং কার্যকরী সদস্য থেকে পরবর্তী সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচন করবেন।কোন ব্যাচে যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া গেলে পরবর্তী ব্যাচ থেকে প্রার্থী গ্রহণ করা হবে। বাকি সদস্যগণও একই যোগ্যতায় যোগ্য এবং নির্দিষ্ট দক্ষতার বলে সিনিয়রিটির ভিত্তিতে নির্বাচিত হবেন।খ) যদি ৭ এর ক ধারা অনুযায়ী কমিটি গঠন সম্ভব না হলে সংগঠনের সার্থে পূর্ববর্তী সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক এবং উপদেষ্টা মন্ডলির সহায়তায় কমিটি গঠন করতে পারবেন।
গ)যদি ৭ এর খ ধারায় ও সম্ভব না হয়,তবে কার্যনির্বাহী পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ ক্ষেত্রে সাংগঠনিক সদস্য এবং কার্যকরী সদস্যগণ ভোটার এবং উপদেষ্টা মন্ডলি নির্বাচন কমিশনের দ্বায়িত্ব পালন করবেন।
পূর্ববর্তী সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক নির্বাচন পরিচালনার দ্বায়িত্বে থাকবেন।
ঘ) ৭ এর ঘ ধারায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক প্রার্থীদের কাছে মনোনয়ন পত্র বিক্রি করতে হবে এবং প্রাপ্ত অর্থ নির্বাচন পরিচালনা কাজে ব্যায় হবে। এ খেত্রে সংগঠনের নিজস্ব তহবিল থেকে অর্থ ব্যায় করা যাবেনা।
৮।কর্মকর্তাদের কার্যাবলী ও ক্ষমতাঃ
ক) সভাপতিঃতিনি সংগঠনের সর্ব প্রধান কর্মকর্তা হিসেবে গন্য হবেন। তিনি "ব্রাহ্মণবাড়িয়া ছাত্রকল্যাণ পরিষদ,কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়" সকল অধিবেশনে,কার্য নির্বাহী সংসদের সভায় ও সম্পাদক মণ্ডলীর সভায় সভাপতিত্ব করবেন এবং আবশ্যকবোধে সংগঠনের গঠনতন্ত্রের যে কোন ধারা ব্যাখ্যা করে রুলিং দিতে পারবেন ও যে কোন ধারার ব্যাখ্যা সম্পর্কে উপদেষ্টা পরিষদের মতামত নিতে পারবেন। গঠনতান্ত্রিক সঙ্কট দেখা দিলে সভাপতি নির্বাহী সংসদের সভা আহ্বান করবেন। সভাপতি যদি স্বয়ং গঠনতন্ত্রের পরিপন্থি কাজ করেন , তবে নির্বাহী সংসদ গঠনতন্ত্র রক্ষার ব্যপারে সভাপতিকে বাধ্য করবেন। সভাপতির স্বাক্ষর ব্যেতিরেকে কোন প্রস্তাবই বিবেচিত হবেনা। তবে গঠনতান্ত্রিক ব্যত্যয় দেখা না দিলে তিনি নির্বাহী সংসদ কর্তৃক গৃহীত প্রস্তাব অনুমোদন করবেন। তিনি সংগঠনের ব্যাংক হিসাব পরিচালনায় অংশগ্রহণ করবেন।
সভা সমিতিতে অধিকাংশ সদস্যের মতামতের উপর সিদ্ধান্ত নির্ভর করে। সমতা দেখা দিলে সভাপতি casting vote প্রদান করতে পারবেন। কেবলমাত্র সভা সমিতির নিয়মানুবর্তিতা রক্ষার জন্য সাধারন সম্পাদকের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে সংসদ সদস্যদের মনোভাব একান্ত বিবেচনার পর তিনি ইচ্ছা করলে বিশেষ ক্ষমতাবলী প্রয়োগ করতে পারবেন।
খ)সহ-সভাপতিঃ
সভাপতির অনুপস্থিতিতে নির্বাহী সংসদের অনুমোদনক্রমে যে কোন একজন সহ সভাপতি সভাপতির পদমর্যাদা ও ক্ষমতা ব্যবহার করবেন এবং কার্যকরী সভাপতি বলে গন্য হবেন।সাধারনভাবে সহ সভাপতিগণ সাধারন কার্যবিধি পরিচালনায় সহায়তা করবেন।
গ)সাধারন সম্পাদকঃ
সাধারন সম্পাদক সংগঠনের প্রধান কর্মসচিব বলে পরিগণিত হবেন। তিনি বিভাগীয় সম্পাদকগণকে তাদের বিভাগীয় কার্যাবলী সম্পাদন করার জন্য উপদেশ ও নির্দেশ দিবেন। তিনি "ব্রাহ্মণবাড়িয়া ছাত্রকল্যণ পরিষদ,কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়" এর কার্যকরী সংসদের বিভিন্ন নির্দেশ যাতে সংগঠনে সঠিক ভাবে প্রয়োগ হয় তার বিধি ব্যবস্থা করবেন। সাধারন সম্পাদক বিভাগীয় সম্পাদকের স্ব স্ব বিভাগের বরাদ্দকৃত খরচে অনুমোদন স্বাক্ষর দান করবেন। তিনি সংগঠনের ব্যাংক হিসাব পরিচালনায় অংশগ্রহণ করবেন।
সাধারন সম্পাদক বিভাগীয় সম্পাদক মণ্ডলীর সাথে আলোচনা করে বাজেট পেশ করবেন।সভাপতির সাথে পরামর্শ করে অন্তত মাসে একবার তিনি বিভাগীয় সম্পাদক মণ্ডলীর সভা আহ্বান করবনে, বিষয়সূচি নির্ধারণ করবেন এবং আলোচ্য বিষয়ের উপর আলোকপাত করবেন। প্রত্যেক বিভাগীয় সম্পাদক এর বার্ষিক কর্ম পরিকল্পনা কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদে উপস্থাপন করবেন এবং অনুমোদন সাপেক্ষে বাস্তবায়নের পদক্ষেপ গ্রহন করবেন।
সম্পাদকীয় বিভাগ সমূহের কর্ম পরিকল্পনাঃ
সাধারন সম্পাদক সম্পাদকীয় বিভাগ সমূহের স্ব স্ব বার্ষিক সম্পাদকীয় কর্মপরিকল্পনা গ্রহন করবেনএবং সংশ্লিষ্ট সম্পাদক এবং ক্ষেত্র বিশেষে উক্ত বিষয়ে গঠিত উপকমিটির সাথে পরামর্শক্রমে নির্বাহী সংসদের সভায় উপস্থাপন করার ব্যবস্থা গ্রহন করবেন।
ঘ) যুগ্ন-সাধারন সম্পাদকঃ
সাধারন সম্পাদকের অনুপস্থিতিতে নির্বাহী সংসদের অনুমোদন সাপেক্ষে যে কোন একজন যুগ্ন-সাধারন সম্পাদক সাধারন সম্পাদকের পদ মর্যাদা ও ক্ষমতা গ্রহন করবেন এবং তিনি কার্যকরী সাধারন সম্পাদক হিসেবে গন্য হবেন। সাধারনভাবে যুগ্ন-সাধারন সম্পাদকগন সাধারন সম্পাদকের কার্য পরিচালনায় সহায়তা করবেন।
ঙ) সাংগঠনিক সম্পাদকঃ
সংগঠনের যে কোন সভা আহবান করা হলে সে সভা বাস্তবায়ন করার জন্য কাজ করবেন।দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদ্যমান ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ছাত্রছাত্রীদের আঞ্চলিক সংগঠনের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করবেন।
সংগঠনের যে কোন সভা আহবান করা হলে সে সভা বাস্তবায়ন করার জন্য কাজ করবেন।দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদ্যমান ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ছাত্রছাত্রীদের আঞ্চলিক সংগঠনের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করবেন।
চ) প্রচার সম্পাদকঃ
"ব্রাহ্মণবাড়িয়া ছাত্রকল্যাণ পরিষদ,কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়" এর যেকোন সভা এবং কর্মসূচি সংবাদপত্র, পুস্তিকা, প্রচারপত্র, ইলেক্ট্রনিক গণমাধ্যম, ইন্টারনেট প্রভৃতির মাধ্যমে প্রচার করাই প্রচার সম্পাদকের কাজ। যে কোন সামাজিক বা সাংগঠনিক কাজের জন্য ব্যানার পোস্টার তৈরির কাজ তার উপর অর্পিত থাকবে।
ছ)দপ্তর সম্পাদকঃ
দপ্তর সম্পাদক সভার কার্য বিবরণী লিপিবদ্ধ করবেন, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র রক্ষা করবেন এবং দপ্তর সংক্রান্ত যাবতীয় কার্যাদি পরিচালনা করবেন। সংগঠনের ই-মেইল একাউন্ট, মোবাইল নাম্বার পরিচালনার যাবতীয় দায়িত্ব পালন করবেন।
জ) অর্থ বিষয়ক সম্পাদকঃ
সংগঠনের আয়-ব্যয়ের হিসাবপত্র ও অন্যান্য আর্থিক ব্যাপারে তিনি দায়ী। তাকে তার কার্যকাল শেষ হলে সম্মেলনে মোট আয়-ব্যয়ের হিসাব প্রদান করতে হবে। সাধারন সম্পাদক ও সভাপতির অনুমতিক্রমে তিনি প্রতিষ্ঠানের আয়-ব্যয় নির্বাহ করবেন।"ব্রাহ্মণবাড়িয়া ছাত্রকল্যাণ পরিষদ,কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়"এর সকল আর্থিক লেনদেন অর্থ বিষয়ক সম্পাদক, সভাপতি এবং সাধারন সম্পাদকের অনুমতিতে পরিচালনা করবেন।
ঝ)গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদকঃ
"ব্রাহ্মণবাড়িয়া ছাত্রকল্যাণ পরিষদ,কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়"এর গঠনতন্ত্র, স্বারক গ্রন্থ, বাৎসরিক পত্রিকা বা যে কোন প্রকাশনা তার তত্বাবধানে ও প্রস্তাবনায় প্রকাশিত হবে।
ঞ) সাংস্কৃতিক সম্পাদকঃ
"ব্রাহ্মণবাড়িয়া ছাত্রকল্যাণ পরিষদ,কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়"এর মুল আদর্শের সাথে সঙ্গতি রক্ষা করে বাঙ্গালীর জাতীয় সংস্কৃতিকে তথা ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সংস্কৃতিকে পরিস্ফুটন করে তোলা এবং সংগঠনের একটি নিজস্ব সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা ও বিস্তৃতি সাধন করা সাংস্কৃতিক সম্পাদকের দায়িত্ব।
*) শিক্ষা ও পাঠচক্র সম্পাদকঃ
শিক্ষামূলক সমস্ত বিষয় পর্যালোচনা করা, "ব্রাহ্মণবাড়িয়া ছাত্রকল্যাণ পরিষদ,কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়"এর পক্ষ হতে আলোচনা করা, সেমিনার, শিক্ষামূলক তথ্যাদির প্রদর্শনী, পাঠচক্র আয়োজন, প্রবন্ধ লেখা প্রতিযোগিতা, বক্তৃতা, কুইজ,বিতর্ক প্রতিযোগিতার আয়োজন ও শিক্ষা সফরের উদ্যোগ ইত্যাদি গ্রহন করবেন।
*)ক্রীড়া সম্পাদকঃ
"ব্রাহ্মণবাড়িয়া ছাত্রকল্যাণ পরিষদ,কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়"এর সদস্যদের জন্য ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য উদ্যোগ গ্রহন করবেন।
*)পাঠাগার সম্পাদকঃ
পাঠাগার সম্পাদক সংগঠনের সদস্যদের চিন্তা চেতনার বিকাশ সাধনের জন্যে বই পত্র সংগ্রহ করবেন এবং বই পড়া কার্যক্রম তদারক করবেন।
*)তথ্য ও গবেষণা সম্পাদকঃ
প্রতিবছর ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে আগত নবীন কুবিয়ানদের তথা প্রাথমিক সদস্যদের তালিকা তৈরি করবেন। অন্যান্য বিভাগীয় সম্পাদকদের প্রয়োজনে তথ্য সরবরাহ করে সহায়তা করবেন।প্রতিটি বিষয়ে ফাইল সংরক্ষণ দপ্তর সম্পাদকের কাছে এক কপি এবং নিজে এক কপি সংরক্ষন করবেন।
*)ছাত্রী বিষয়ক সম্পাদক:
সংগঠনের ছাত্রী সদস্যদেএ সাথে সম্পর্ক স্থাপন করবেন।যে কোন প্রোগ্রামে ছাত্রীদের উপস্থিতি নিশ্চিত করবেন।সংগঠনের যে কোন ছাত্রী সদস্যদের দাবি সভায় উপস্থাপন করবেন।
*)আইন বিষয়ক সম্পাদকঃ
"ব্রাহ্মণবাড়িয়া ছাত্রকল্যাণ পরিষদ,কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়"এর সদস্যদের দ্বারা যেন কোন রাষ্ট্রীয় আইন বা বিশ্ববিদ্যালয় আইন ব্যাহত না হয় সেদিকে জোর নজর দিবেন।সদস্যদের বিশ্ববিদ্যালয় আইন সম্পর্কে অবিহিত করবেন। "ব্রাহ্মণবাড়িয়া ছাত্রকল্যাণ পরিষদ,কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়"এর গঠনতন্ত্রের পূর্ণ ব্যবহার হচ্ছে কিনা সে বিষয়ে নজর রাখবেন।কোথাও কোন ধারা সংগঠন অমান্য করলে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে অবহিত করবেন।
*)আইন বিষয়ক সম্পাদকঃ
"ব্রাহ্মণবাড়িয়া ছাত্রকল্যাণ পরিষদ,কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়"এর সদস্যদের দ্বারা যেন কোন রাষ্ট্রীয় আইন বা বিশ্ববিদ্যালয় আইন ব্যাহত না হয় সেদিকে জোর নজর দিবেন।সদস্যদের বিশ্ববিদ্যালয় আইন সম্পর্কে অবিহিত করবেন। "ব্রাহ্মণবাড়িয়া ছাত্রকল্যাণ পরিষদ,কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়"এর গঠনতন্ত্রের পূর্ণ ব্যবহার হচ্ছে কিনা সে বিষয়ে নজর রাখবেন।কোথাও কোন ধারা সংগঠন অমান্য করলে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে অবহিত করবেন।
*)মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক:
সদস্যদের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে জ্ঞান চর্চার সুযোগ সৃষ্টির জন্য কাজ করবেন। মুক্তিযুদ্ধে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার অবদান ফুটিয়ে তোলার লক্ষে কার্যপরিকল্পনা হাতে নিবেন। বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে সংগঠনের কার্যক্রম সমূহের বিস্তারিত কর্ম পরিকল্পনা গ্রহন করবেন।
*)ছাত্র উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদকঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিভিন্ন স্কুল ও কলেজ পড়ুয়া ছাত্র ছাত্রীদের মোটিভেশন করার জন্য সভা বা সেমিনারের আয়োজন করার জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করবেন।
*)বিজ্ঞান ও তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদকঃ
বিজ্ঞান শিক্ষার প্রসার ও বিজ্ঞান বিষয়ক সভা সেমিনার আয়োজন, গবেশনার উদ্যোগ গ্রহন প্রধান সম্পাদকীয় দায়িত্ব রুপে গন্য হবে। তাছাড়া সংগঠনের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের পেইজ, ব্লগ, apps ইত্যাদি পরিচালনাও আপডেট করতে ভূমিকা রাখবেন।
*)ধর্ম বিষয়ক সম্পাদকঃ
সদস্যদের ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান পালনে আগ্রহ গড়ে তুলবেন। সভা বা অনুষ্ঠানের শুরুতে ধর্মীয় আচার পালনের ব্যাবস্থা করবেন।
*)ছাত্রবৃত্তি বিষয়ক সম্পাদক:
ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে আগত নবীন কুবিয়ানদের মধ্যে যারা অপেক্ষাকৃত অসচ্ছল তাদের ভর্তি কার্যক্রম যেন ব্যাহত না হয় সে লক্ষে অর্থ সংগ্রহ কর্ম পরিকল্পনা গ্রহন প্রধান সম্পাদকীয় দায়িত্ব হিসেবে গন্য হবে। তাছাড়া কোন সাংগঠনিক সদস্য যদি অর্থনৈতিক ভাবে দূর্বল হয় তবে তার পড়াশোনার খরচ চালানোর জন্য তাকে সংগঠনের পক্ষথেকে এককালীন বৃত্তি প্রদানের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
যদি কোন সদস্য অসুস্থ হন যার চিকিৎসা ব্যায় তার পরিবার বহন করতে পারছেন না,তবে সংগঠনের পক্ষথেকে সে সদস্যের জন্য ফান্ড কালেক্ট করার ব্যাবস্থা গ্রহণ করবেন।
গণযোগাযোগ সম্পাদকঃ
সদস্যদের সাথে যোগাযোগ সম্পর্কিত সকল কার্যক্রম, সংবাদ মাধ্যমের সাথে যোগাযোগ রক্ষা গণযোগাযোগ সম্পাদকের দায়িত্ব।
সাহিত্য সম্পাদকঃ
সংগঠনের সদস্যদের মধ্যে সাহিত্য জ্ঞান চর্চা বৃদ্ধি ও সাহিত্য বিষয়ক যাবতীয় কার্যক্রম গ্রহন করবেন। বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে সংগঠনের কার্যক্রম সমূহের বিস্তারিত কর্ম পরিকল্পনা গ্রহন করবেন।
আপ্যায়ন সম্পাদকঃ
সংগঠনের যাবতীয় কর্মসূচি ও প্রযোজ্য অন্যান্য ক্ষেত্রে আপ্যায়ন ও প্রাসঙ্গিক বিষয়াদি সম্পাদন করা আপ্যায়ন সম্পাদকের দায়িত্ব।বাৎসরিক ইফতার ও দোয়া মাহফিল আয়োজনের উদ্যোগ গ্রহণ করবেন।
কর্মসূচি পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদকঃ
সংগঠনের সাধারন কর্মসূচি, সাংগঠনিক ক্যালেন্ডার ও প্রয়োজনীয় অন্যান্য কর্মপরিকল্পনা গ্রহন ও বাস্তবায়ন প্রধান সম্পাদকীয় দায়িত্বরুপে গন্য হবে।
*)পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদকঃ
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় এর পরিবেশ রক্ষার্থে সংগঠনের পক্ষথেকে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি গ্রহণ করতে পারেন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রঙ্গণ বা ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান পরিষ্কার করার উদ্যোগ গ্রহনের জন্য সভায় প্রস্তাব উত্থাপন করতে পারেন।
জবাবদিহিতাঃ
সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্যগণ প্রতি ২ মাসে অন্তত একবার তাদের উপর অর্পিত দায়িত্ব কতটুকু সম্পাদন করেছেন তা লিখিত ও মৌখিকভাবে সভাপতি সাফহারণ সম্পাদকের নিকট পেশ করবেন এবং তাদের পরবর্তী কার্যক্রমের পরিকল্পনা উপস্থাপন করবেন।
উপ-সম্পাদকঃ
বিভাগীয় উপ-সম্পাদকগণ স্ব স্ব বিভাগের সম্পাদককে বিভাগীয় কার্য পরিচালনায় সহযোগিতা করবেন এবং সম্পাদকের অনুপস্থিতিতে সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করবেন।
সহ সম্পাদকঃ
নির্বাহী সংসদ কর্তৃক প্রদত্ত সকল দায়িত্ব পালন করবেন।
সদস্যঃ
সদস্যগণ নির্বাহী সংসদ কর্তৃক প্রদত্ত সকল দায়িত্ব পালন করবেন।
*)ছাত্র উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদকঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিভিন্ন স্কুল ও কলেজ পড়ুয়া ছাত্র ছাত্রীদের মোটিভেশন করার জন্য সভা বা সেমিনারের আয়োজন করার জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করবেন।
*)বিজ্ঞান ও তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদকঃ
বিজ্ঞান শিক্ষার প্রসার ও বিজ্ঞান বিষয়ক সভা সেমিনার আয়োজন, গবেশনার উদ্যোগ গ্রহন প্রধান সম্পাদকীয় দায়িত্ব রুপে গন্য হবে। তাছাড়া সংগঠনের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের পেইজ, ব্লগ, apps ইত্যাদি পরিচালনাও আপডেট করতে ভূমিকা রাখবেন।
*)ধর্ম বিষয়ক সম্পাদকঃ
সদস্যদের ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান পালনে আগ্রহ গড়ে তুলবেন। সভা বা অনুষ্ঠানের শুরুতে ধর্মীয় আচার পালনের ব্যাবস্থা করবেন।
*)ছাত্রবৃত্তি বিষয়ক সম্পাদক:
ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে আগত নবীন কুবিয়ানদের মধ্যে যারা অপেক্ষাকৃত অসচ্ছল তাদের ভর্তি কার্যক্রম যেন ব্যাহত না হয় সে লক্ষে অর্থ সংগ্রহ কর্ম পরিকল্পনা গ্রহন প্রধান সম্পাদকীয় দায়িত্ব হিসেবে গন্য হবে। তাছাড়া কোন সাংগঠনিক সদস্য যদি অর্থনৈতিক ভাবে দূর্বল হয় তবে তার পড়াশোনার খরচ চালানোর জন্য তাকে সংগঠনের পক্ষথেকে এককালীন বৃত্তি প্রদানের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
যদি কোন সদস্য অসুস্থ হন যার চিকিৎসা ব্যায় তার পরিবার বহন করতে পারছেন না,তবে সংগঠনের পক্ষথেকে সে সদস্যের জন্য ফান্ড কালেক্ট করার ব্যাবস্থা গ্রহণ করবেন।
গণযোগাযোগ সম্পাদকঃ
সদস্যদের সাথে যোগাযোগ সম্পর্কিত সকল কার্যক্রম, সংবাদ মাধ্যমের সাথে যোগাযোগ রক্ষা গণযোগাযোগ সম্পাদকের দায়িত্ব।
সাহিত্য সম্পাদকঃ
সংগঠনের সদস্যদের মধ্যে সাহিত্য জ্ঞান চর্চা বৃদ্ধি ও সাহিত্য বিষয়ক যাবতীয় কার্যক্রম গ্রহন করবেন। বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে সংগঠনের কার্যক্রম সমূহের বিস্তারিত কর্ম পরিকল্পনা গ্রহন করবেন।
আপ্যায়ন সম্পাদকঃ
সংগঠনের যাবতীয় কর্মসূচি ও প্রযোজ্য অন্যান্য ক্ষেত্রে আপ্যায়ন ও প্রাসঙ্গিক বিষয়াদি সম্পাদন করা আপ্যায়ন সম্পাদকের দায়িত্ব।বাৎসরিক ইফতার ও দোয়া মাহফিল আয়োজনের উদ্যোগ গ্রহণ করবেন।
কর্মসূচি পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদকঃ
সংগঠনের সাধারন কর্মসূচি, সাংগঠনিক ক্যালেন্ডার ও প্রয়োজনীয় অন্যান্য কর্মপরিকল্পনা গ্রহন ও বাস্তবায়ন প্রধান সম্পাদকীয় দায়িত্বরুপে গন্য হবে।
*)পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদকঃ
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় এর পরিবেশ রক্ষার্থে সংগঠনের পক্ষথেকে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি গ্রহণ করতে পারেন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রঙ্গণ বা ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান পরিষ্কার করার উদ্যোগ গ্রহনের জন্য সভায় প্রস্তাব উত্থাপন করতে পারেন।
জবাবদিহিতাঃ
সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্যগণ প্রতি ২ মাসে অন্তত একবার তাদের উপর অর্পিত দায়িত্ব কতটুকু সম্পাদন করেছেন তা লিখিত ও মৌখিকভাবে সভাপতি সাফহারণ সম্পাদকের নিকট পেশ করবেন এবং তাদের পরবর্তী কার্যক্রমের পরিকল্পনা উপস্থাপন করবেন।
উপ-সম্পাদকঃ
বিভাগীয় উপ-সম্পাদকগণ স্ব স্ব বিভাগের সম্পাদককে বিভাগীয় কার্য পরিচালনায় সহযোগিতা করবেন এবং সম্পাদকের অনুপস্থিতিতে সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করবেন।
সহ সম্পাদকঃ
নির্বাহী সংসদ কর্তৃক প্রদত্ত সকল দায়িত্ব পালন করবেন।
সদস্যঃ
সদস্যগণ নির্বাহী সংসদ কর্তৃক প্রদত্ত সকল দায়িত্ব পালন করবেন।
৯। কাউন্সিল অধিবেশনঃ
ক) বৎসরে একবার "ব্রাহ্মণবাড়িয়া ছাত্রকল্যাণ পরিষদ,কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়"এর কাউন্সিল অধিবেশন বসে। তবে ৩০ দিনের নোটিশে প্রয়োজনবোধে বিশেষ অধিবেশন আহ্বান করা যায়। নির্বাহী সংসদ কাউন্সিল অধিবেশন সফল করার জন্য একটি প্রস্তুতি কমিটি ও বিভিন্ন উপকমিটি গঠন করতে পারে। খ) কাউন্সিলের প্রতিনিধিঃ সাংগঠনিক সদস্যগণ প্রতিনিধি বলে গন্য হবে।
১০। সভা সমিতির বিধানঃ
ক) জরুরী অবস্থায় অন্তত ২ দিন এবং সাধারন অবস্থায় অন্তত ৭ দিনের নোটিশে কাউন্সিলরদের সভা অনুষ্ঠিত হবে। জরুরী অবস্থায় এক পঞ্চমাংশ ও সাধারন অবস্থায় এক তৃতীয়াংশের উপস্থিতিতে কোরাম হবে।খ) ৩ দিনের নোটিশে মাসিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। প্রতি মাসেই এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।এক কার্য নির্বাহী সংসদের ১ বছর মেয়াদ কালে কম পক্ষে ৭ টি মাসিক বৈঠক আয়োজন করতে হবে।
ঘ) রিকুইজিশন সভাঃ"ব্রাহ্মণবাড়িয়া ছাত্রকল্যাণ পরিষদ,কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়"এর কার্যকরী সদস্যরা চাইলে রিকুইজিশন সভার আহবার করতে পারেন।এ সভার জন্য কার্যকরী সদস্যদের ১ তৃতীয়াংশ সদস্যের স্বাক্ষর সংবলিত রিকুইজিশন পত্র ৭ দিনের মধ্যে সভাপতির মারফত সাধারন সম্পাদকের নিকট পেশ করার পর নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সাধারন সম্পাদক যদি সভা আহ্বান না করেন তাহলে এই রিকুইজিশন পত্র সভার আমন্ত্রনলিপি হিসেবে গন্য হবে এবং এই সভা সম্পূর্ণ বৈধ। অনুরূপভাবে নির্বাহী সংসদের সভা ও আহ্বান করা যাবে। তবে রিকুইজিশন সভায় নির্বাচন অনুষ্ঠান করা যাবেনা।
১১। উপ-কমিটিঃ
কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের প্রয়োজনে সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড পরিচালনার সুবিধার্থে প্রতি বিভাগের জন্য আলাদা আলাদা উপকমিটি গঠন করবে। সহ সভাপতিগণ এই উপকিমিটি গুলার আহবায়ক ও বিভাগীয় সম্পাদকগন সদস্য সচিবের দায়িত্ব পালন করবেন। অব্যাখ্যাত বিষয়ে উপকিমিটি গঠনের ক্ষেত্রে নির্বাহী সংসদ সিদ্ধান্ত নিবেন। নির্বাহী সংসদের সমন্বয়ে ৫/খ ধারা অনুযায়ী সর্বোচ্চ ১৫ জন সদস্য বিশিষ্ট উপ কমিটি গঠিত হবে। তবে উপকমিটির সঙ্গে নির্বাহী সংসদের কোন বিরোধ দেখা দিলে নির্বাহী সংসদের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে গন্য হবে। ১২। নিয়ম ও শৃঙ্খলাঃ
ক)সংগঠনের ভাবমূর্তি নষ্ট করার দায়ে কোন কার্যকরী সদস্য (ধারা ৪/গ) বা সাংগঠনিক সদস্যকে(ধারা ৪/খ) কার্যনির্বাহী পরিষদের এক তৃতীয়াংশ সদস্যের স্বাক্ষরিত বহিষ্কার পত্রে স্থায়ী বহিস্কার করা যাবে। সেক্ষেত্রে তার প্রাথমীক সদস্য পদ চলমান ডিগ্রির সমাপ্তিতে পূণ বহাল হবে।
খ) সংগঠনের ভাবমূর্তি নষ্ট করার দায়ে কোন সদস্যকে প্রাথমিক সদস্য থেকে স্থায়ী বহিস্কার করতে হলে সে সদস্যের অপরাধ উল্লেখ পূর্বক বহিস্কার পত্রে ১ তৃতীয়াংশ সাংগঠনিক সদস্যের সাক্ষর প্রয়োজন হবে।
গ) সংগঠনের সাধারণ সম্পাদকের প্রস্তাবনায় সভাপতি যে কোন সদস্যের (৪ নং ধারার সকল উপধারা) সদস্য পদ অনুর্ধ ১৫ মাস এর জন্য স্থগিত রাখতে পারেন। অথবা অনুর্ধ ৬ মাসের জন্য সাময়িক বহিস্কার করতে পারবেন।
ঘ) সংগঠনের ভাবমূর্তি নষ্ট করার দায়ে যে কোন সদস্যের (৪নং ধারার সকল উপধারা) সদস্য পদ সাধারণ সম্পাদকের প্রস্তাবনায় উপদেষ্টা পরিষদের সুপারিশ ক্রমে সভাপতি স্থায়ী বা সাময়িক বহিস্কার করতে পারেন।
ঙ) কোন সদস্য জঙ্গিবাদ বা রাষ্ট্র বিরোধী কার্যের সাথে সম্পৃক্ত থাকলে তার সে অপরাধ রাষ্ট্রীয়ভাবে প্রমানিত হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত সদস্য পদ(ধারা ৪ এর সকল উপধারা) স্থগিত থাকবে। এবং অপরাধ আদালর দারা প্রমানিত হলে তিনি সংগঠন থেকে আজীবনের জন্য বহিস্কৃত হবেন। ক্ষেত্রে সভাপতি বা সাধারণ সম্পাদকের কোন নোটিশ না দিলেও তা কার্যকর হবে।
চ) সংগঠনের কোন সদস্য কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে অন্য কোন আঞ্চলিক সংগঠন(জেলা বা উপজেলা ভিত্তিক) গড়েতোলার চেষ্টা করলে, সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটির সুপারিসে তাদের সদস্য পদথেকে আজীবনের জন্য বহিস্কার করতে পারবেন। সভাপতি বা সাধারণ সম্পাদক নিজে এমন কাজের সাথে যুক্ত থাকলে কার্যনির্বাহী পরিষদের দুই তৃতীয়াংশের ভোটে অভিযুক্ত বহিস্কৃত হবেন।
১৩। অন্যান্য সংস্থার সাথে সম্পর্কঃ
ক) ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে গড়ে উঠা যে কোন পাব্লিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগঠনের সাথে "ব্রাহ্মণবাড়িয়া ছাত্রকল্যাণ পরিষদ, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়" সু-সম্পর্ক বজায় রাখবে। প্রয়োজনে তাদের সাথে মিলিত ভাবে কোন কাজ করার সিদ্ধান্ত নিতে পারবে।খ) "ব্রাহ্মণবাড়িয়া ছাত্রকল্যাণ পরিষদ, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়"এর কোন সদস্য এককভাবে অন্য কোন ছাত্র বা রাজনৈতিক সংগঠনের সভ্য হতে পারবেন। তবে সংগঠনের সামান্য তম ক্ষতির আশংকা থাকলে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক উপদেষ্টা পরিষদের সুপারিস ক্রমে যে কোন সাময়িক রুল জারি করতে পারবেন।সে রুল প্রথমিক সদস্যদের জন্য বিবেচ্য হবেনা।
১৪। গঠনতন্ত্র পরিবর্তন:
ক) কার্যনির্বাহী পরিষদের তিন চতুর্থাংশ ছাত্রছাত্রীর ভোটে গঠনতন্ত্রের যে কোন ধারা বা উপধারা পরিবর্তন পরিবর্ধন বা পরিমার্জন করা যাবে।খ) গঠনতন্ত্রের ধারা নং *** পরিবর্তন অযোগ্য বলে বিবেচিত।
কোন মন্তব্য নেই